এই পোষ্টে মানুষের অত্যন্ত সাধারণ দুটি
বৈশিষ্ট বহির্মুখীতা ও অন্তর্মুখীতা নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে।
Extrovert-বহির্
মুখী ব্যক্তিত্ব
আমারা আমাদের সমাজে মুলত দুই
ধরণের মানুষ দেখি। যাদের একদল সবার সাথে
সাধারণ ভাবে কথা বলে, কখনো একটু বেশিই
কথা বলে আবার আর একদল মানুষ আছে যারা
কথাই বলতে চায় না, শুধুমাত্র বাছাইকৃত
কয়েকজনের সাথে ছাড়া অন্যদের সাথে কথা
বলতে খুব আগ্রহী হয় না। এদের মধ্যে যারা
সকলের সাথে কথা বলে কিংবা বেশি কথা বলে
তারাই Extroverts বা বহির্মুখী ।
বহির্মুখীদের বৈশিষ্ট্য :
বহির্মুখীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা
সাধারণত বেশি কথা বলে থাকে। অনেকের
সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে আগ্রহী হয়। সামাজিক
মিথস্ক্রিয়া পছন্দ করে। সকলের মনোযোগ
আকর্ষণ করতে চেষ্টা করে। নুতন কোনো
ব্যক্তির সাথে কথা বলতে উৎসাহী হয়।
আশেপাশে মানুষ থাকলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
তাদের মধ্যে অনেকে সত্যিকার অর্থে অন্যের
ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী হয় আবার অনেকে
শুধুমাত্র কথা শোনানোর মানুষ পাওয়ায় কথা
বলতে থাকে। তারা সাধারণত মজাদার ও
চার্মিং হয়ে থাকে। কোনো পার্টিতে এরা
সবচেয়ে বেশি মজা করে এবং স্পট লাইট নিজের
ওপর রাখতে চেষ্টা করে। পার্টি এরা খুব পছন্দ
করে কারণ সেখানে তারা অনেক মানুষের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে এবং নুতন মানুষের
সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সুযোগ পায়। এরা
সাধারণত যোগাযোগ বা কথা বলার ক্ষেত্রে
অগ্রগামী হয়। অর্থাৎ কথা শুরুর ক্ষেত্রে এরাই
আগে শুরু করে। কথা বলার সময় চিন্তা করে না।
সাধারণত ভাল বন্ধু হয় এবং তুলনামূলক কম
সেন্সিটিভ হয়ে থাকে। তারা নিজেদের মনের
কথাগুলো সকলের সাথে শেয়ার করতে ভালবাসে
এবং তাদের ফ্রেন্ড সার্কেল অনেক বড় হয়।
বহির্মুখী ব্যক্তিরা অনেক মানুষের মাঝে থেকে
শক্তি লাভ করে।একসাথে একাধিক কাজ করতে
পছন্দ করে। গ্রুপে কাজ করতে ভাল বাসে এবং
একা সময় কাটাতে পছন্দ করে না। মোটকথা এরা
অনেক মানুষের সাথে থাকতে ভালবাসে।
বর্তমানে প্রতি ৩জন মানুষের মাঝে দুইজনই
extrovert বা বহির্মুখী।
পারসোনালিটি ট্রেইটসে Extrovert বা বহির্মুখী
কে “E” দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
Introvert বা অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্ব
দু ধরণের মানুষের মধ্যে যে শ্রেনীর মানুষেরা
একটু চুপচাপ থাকে , কথা কম বলতে পছন্দ করে
সাধারণত তারাই Introvert বা অন্তর্মুখী ।
অন্তর্মুখীদের বৈশিষ্ট্য :
বুঝতেই পারছেন অন্তর্মুখী ব্যক্তিদের প্রধান
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা কথা অনেক কম বলে। এ
ধরনের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে
তারা নিজেই। চাপা স্বভাবের এ মানুষগুলো
সাধারণত চিন্তাশীল হয়। তারা সাধারণত কথা
বলার থেকে কথা শোনে বেশি। তারা অনেকের
মাঝে মনোযোগ আকর্ষণে একদম পছন্দ করে না।
অনেক মানুষের ভির এদের অপছন্দ। এরা
সাধারণত নিজের মনে একাকি চিন্তায় মগ্ন
থাকতে পছন্দ করে এবং একাকি থেকে শক্তি
অর্জন করে। কোনো গ্রুপে থাকলে এরা
সাধারণত শুনতে থাকে যখন কথা বলে তখন তা হয়
সামান্য কিন্তু অত্যন্ত যৌক্তিক বা গুরুত্বপুর্ণ।
তারা মুলত নিজের ভেতরের জীবনের দিকে
ফোকাস করে। তাই বলে সার্থপর ভাবা ভুল হবে।
এরা একা কিংবা খুব কাছের বন্ধুদের সাথে
সময় কাটায়। বই পড়া, লেখা, কম্পিউটার
চালানো ইত্যাদি তারা পছন্দ করে কেননা এতে
অন্য মানুষের সাথে কথা বলতে হয় না। একসাথে
একাধিক কাজ করতে পছন্দ করে না। যদিও এরা
কথা অনেক কম বলে তবে যদি কথা বলার টপিক
তাদের আগ্রহের বিষয়গুলির কোনোটি হয় তাহলে
তারা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারে।
অনেকে Shy এবং introversion কে এক মনে করে।
কিন্তু এটি সত্য নয়। Shy হতে পারে Extrovert Introvert
উভয়ই। বেশিরভাগ সময় এদের দেখা যায় নিশ্চুপ
হয়ে আড়ালে চিন্তামগ্ন থাকতে। এরা কথা
বলার আগে চিন্তা করে কথা বলে। সাধারণত
ভাল শ্রোতা হয়। নতুন মানুষের সাথে কথা
বলাতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। পার্টিতে এদের
বোরিং পারসোনও বলা যেতে পারে। পার্টিতে
অচেনা মানুষ থাকলে এরা নিজেকে গুটিয়ে নেয়
এবং স্পটলাইট থেকে দূরে থাকে। বেশি বন্ধু
বানায় না। তবে যেকজন বন্ধু থাকে তাদের
প্রতি অত্যন্ত আস্থাভাজন থাকে। এদের সাথে
ভাল বন্ধুত্বের পূর্বশর্ত হল বিশ্বাস। খুব কাছের
বন্ধুর সাথে থাকলে বেশি কথা বলতে পারে
সামাজিক মিথস্ক্রীয়া খুব একটা পছন্দ করে না।
কথা বলার চেয়ে লিখে এরা মনের ভাব ভাল
ভাবে প্রকাশ করতে পারে। এরা সাধারাণত
চিন্তা করতে ভালবাসে তাই অধিকাংশ বিখ্যাত
লেখক,দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক
অতিরিক্ত পরিমাণে Introvert বা অন্তর্মুখী হয়ে
থাকে। যেমন : স্যার অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
Introvert বা অন্তর্মুখীদের “I” দ্বারা প্রকাশ করা
হয়।
বৈশিষ্ট বহির্মুখীতা ও অন্তর্মুখীতা নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে।
Extrovert-বহির্
আমারা আমাদের সমাজে মুলত দুই
ধরণের মানুষ দেখি। যাদের একদল সবার সাথে
সাধারণ ভাবে কথা বলে, কখনো একটু বেশিই
কথা বলে আবার আর একদল মানুষ আছে যারা
কথাই বলতে চায় না, শুধুমাত্র বাছাইকৃত
কয়েকজনের সাথে ছাড়া অন্যদের সাথে কথা
বলতে খুব আগ্রহী হয় না। এদের মধ্যে যারা
সকলের সাথে কথা বলে কিংবা বেশি কথা বলে
তারাই Extroverts বা বহির্মুখী ।
বহির্মুখীদের বৈশিষ্ট্য :
বহির্মুখীদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এরা
সাধারণত বেশি কথা বলে থাকে। অনেকের
সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনে আগ্রহী হয়। সামাজিক
মিথস্ক্রিয়া পছন্দ করে। সকলের মনোযোগ
আকর্ষণ করতে চেষ্টা করে। নুতন কোনো
ব্যক্তির সাথে কথা বলতে উৎসাহী হয়।
আশেপাশে মানুষ থাকলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
তাদের মধ্যে অনেকে সত্যিকার অর্থে অন্যের
ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী হয় আবার অনেকে
শুধুমাত্র কথা শোনানোর মানুষ পাওয়ায় কথা
বলতে থাকে। তারা সাধারণত মজাদার ও
চার্মিং হয়ে থাকে। কোনো পার্টিতে এরা
সবচেয়ে বেশি মজা করে এবং স্পট লাইট নিজের
ওপর রাখতে চেষ্টা করে। পার্টি এরা খুব পছন্দ
করে কারণ সেখানে তারা অনেক মানুষের সাথে
যোগাযোগ করতে পারে এবং নুতন মানুষের
সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সুযোগ পায়। এরা
সাধারণত যোগাযোগ বা কথা বলার ক্ষেত্রে
অগ্রগামী হয়। অর্থাৎ কথা শুরুর ক্ষেত্রে এরাই
আগে শুরু করে। কথা বলার সময় চিন্তা করে না।
সাধারণত ভাল বন্ধু হয় এবং তুলনামূলক কম
সেন্সিটিভ হয়ে থাকে। তারা নিজেদের মনের
কথাগুলো সকলের সাথে শেয়ার করতে ভালবাসে
এবং তাদের ফ্রেন্ড সার্কেল অনেক বড় হয়।
বহির্মুখী ব্যক্তিরা অনেক মানুষের মাঝে থেকে
শক্তি লাভ করে।একসাথে একাধিক কাজ করতে
পছন্দ করে। গ্রুপে কাজ করতে ভাল বাসে এবং
একা সময় কাটাতে পছন্দ করে না। মোটকথা এরা
অনেক মানুষের সাথে থাকতে ভালবাসে।
বর্তমানে প্রতি ৩জন মানুষের মাঝে দুইজনই
extrovert বা বহির্মুখী।
পারসোনালিটি ট্রেইটসে Extrovert বা বহির্মুখী
কে “E” দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
Introvert বা অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্ব
দু ধরণের মানুষের মধ্যে যে শ্রেনীর মানুষেরা
একটু চুপচাপ থাকে , কথা কম বলতে পছন্দ করে
সাধারণত তারাই Introvert বা অন্তর্মুখী ।
অন্তর্মুখীদের বৈশিষ্ট্য :
বুঝতেই পারছেন অন্তর্মুখী ব্যক্তিদের প্রধান
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা কথা অনেক কম বলে। এ
ধরনের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে
তারা নিজেই। চাপা স্বভাবের এ মানুষগুলো
সাধারণত চিন্তাশীল হয়। তারা সাধারণত কথা
বলার থেকে কথা শোনে বেশি। তারা অনেকের
মাঝে মনোযোগ আকর্ষণে একদম পছন্দ করে না।
অনেক মানুষের ভির এদের অপছন্দ। এরা
সাধারণত নিজের মনে একাকি চিন্তায় মগ্ন
থাকতে পছন্দ করে এবং একাকি থেকে শক্তি
অর্জন করে। কোনো গ্রুপে থাকলে এরা
সাধারণত শুনতে থাকে যখন কথা বলে তখন তা হয়
সামান্য কিন্তু অত্যন্ত যৌক্তিক বা গুরুত্বপুর্ণ।
তারা মুলত নিজের ভেতরের জীবনের দিকে
ফোকাস করে। তাই বলে সার্থপর ভাবা ভুল হবে।
এরা একা কিংবা খুব কাছের বন্ধুদের সাথে
সময় কাটায়। বই পড়া, লেখা, কম্পিউটার
চালানো ইত্যাদি তারা পছন্দ করে কেননা এতে
অন্য মানুষের সাথে কথা বলতে হয় না। একসাথে
একাধিক কাজ করতে পছন্দ করে না। যদিও এরা
কথা অনেক কম বলে তবে যদি কথা বলার টপিক
তাদের আগ্রহের বিষয়গুলির কোনোটি হয় তাহলে
তারা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারে।
অনেকে Shy এবং introversion কে এক মনে করে।
কিন্তু এটি সত্য নয়। Shy হতে পারে Extrovert Introvert
উভয়ই। বেশিরভাগ সময় এদের দেখা যায় নিশ্চুপ
হয়ে আড়ালে চিন্তামগ্ন থাকতে। এরা কথা
বলার আগে চিন্তা করে কথা বলে। সাধারণত
ভাল শ্রোতা হয়। নতুন মানুষের সাথে কথা
বলাতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। পার্টিতে এদের
বোরিং পারসোনও বলা যেতে পারে। পার্টিতে
অচেনা মানুষ থাকলে এরা নিজেকে গুটিয়ে নেয়
এবং স্পটলাইট থেকে দূরে থাকে। বেশি বন্ধু
বানায় না। তবে যেকজন বন্ধু থাকে তাদের
প্রতি অত্যন্ত আস্থাভাজন থাকে। এদের সাথে
ভাল বন্ধুত্বের পূর্বশর্ত হল বিশ্বাস। খুব কাছের
বন্ধুর সাথে থাকলে বেশি কথা বলতে পারে
সামাজিক মিথস্ক্রীয়া খুব একটা পছন্দ করে না।
কথা বলার চেয়ে লিখে এরা মনের ভাব ভাল
ভাবে প্রকাশ করতে পারে। এরা সাধারাণত
চিন্তা করতে ভালবাসে তাই অধিকাংশ বিখ্যাত
লেখক,দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক
অতিরিক্ত পরিমাণে Introvert বা অন্তর্মুখী হয়ে
থাকে। যেমন : স্যার অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।
Introvert বা অন্তর্মুখীদের “I” দ্বারা প্রকাশ করা
হয়।
![]() |
Introver Extrovert |