আমাদের আসেপাশে অনেক মানুষ আছে যারা হঠাৎ করে আশ্চর্যজনক আচরণ করতে শুরু
করে। কিছু সময় পরে দেখা যায়, আর কোনো সমস্যাই নেই। তাই আমরা এসব
ব্যাপার নিয়ে হয়তো তেমন একটা মাথা ঘামাইনা। কিন্তু সবসময় তা অগ্রাহ্য করার
মত বিষয় নাও হতে পারে। অনেকসময় কিছু মানসিক রোগের কারণে এ ধরণের আচরণগত
পরিবর্তন ঘটে যা অত্যন্ত কাছের মানুষ ছাড়া সনাক্ত করা মুশকিল। সেরকমই একটি
রোগ হল বাইপোলার।
---------------
----
বিপোলার রোগটি সম্পর্কে আমাদের জানাটা খুব জরুরি। এর কারন এটি এমন একটি রোগ যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই অগ্রাহ্য করে কিন্তু তার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হয়। অগ্রাহ্য করার কারন হল মুলত এটি মানসিক রোগ এবং এ রোগের লক্ষণগুলো অনেকের কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হবে না। অর্থাৎ রোগী পাগলের মত আচরণ করে- মোটেও সেরকম কিছু নয়।
পরিচিতি:-"বাইপোলার" হল এমন এক ধরনের মানসিক অসুখ যার ফলে একজন মানুষ একটি সময়ের (যেমন:দিন,মাস বা বছর) নির্দিষ্ট অংশে খুবই প্রফুল্ল বা খুশি থাকে এবং বাকি অংশ ডিপ্রেশনে অর্থ্যাৎ হতাশায় আক্রান্ত হয়। যেমন বিপোলারে আক্রান্ত কেউ একজন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুব খুশি,এনার্জেটিক
থাকতে পারে আর বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গভীর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
এই খুশি বা এনার্জেটিক থাকার সময়কালকে বলে "ম্যানিক" আর হতাশাগ্রস্ত থাকার
সময়কালকে বলে "ডিপ্রেশন"। তাই বিপোলারের আরেক নাম "ম্যানিক ডিপ্রেশন"।
সাধারণত ম্যানিক এপিসোড হওয়ার পরপরই ডিপ্রেশন শুরু হয়। একে মুড চেঞ্জিং
বলে।
আপনার বিপোলার আছে কিনা তা যাচাই করতে বিপোলারের লক্ষণগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ম্যানিক ও ডিপ্রেশন এপিসোডে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করে। যেমন:-
ম্যানিক:- এ সময় রোগী মাত্রাতিরিক্তভাবে
প্রফুল্ল আর এনার্জেটিক থাকে। খুব বেশি খুশি থাকে বলে বিভিন্ন ধরণের ভুল
সিদ্ধান্ত নেয়। ঘুম কম হয়। অতিরিক্ত মোটিভেটেড হয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ
শুরু করে। কথা বলার দ্রুতি বেড়ে যায়। গুছিয়ে কথা বলতে পারে। ঝুঁকি নিতে
আগ্রহী হয়। বেশিক্ষণ এ্যাটেনশন ধরে রাখতে পারে না। ম্যানিক এপিসোড কয়েক
ঘন্টা থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ডিপ্রেশন:-ম্যানিকের পরপরই শুরু হয় ডিপ্রেশন। এসময় রোগী বিভিন্ন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রবল হতাশা অনুভব করে। রাগের মাত্রা বেড়ে যায়। মানসিকভাবে ভেংগে পড়ে। মোটিভেশন একদম থাকে না। ম্যানিকের সময়ে যে সব কাজ শুরু করেছিল তার প্রতি, মূহুর্তেই সব আগ্রহে উঠে যায় ফলে কাজগুলো আর শেষ করা হয় না । নিজেকে অসহায় মনে হয়। ঘুম বেশি হয় বা একবারে কম হয়। রোগী আত্মহত্যা করতে পর্যন্ত উদ্যত হয়। হিসাব মতে এ রোগে আক্রান্তদের প্রায় ৫০% মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া নিজের শারীরিক ক্ষতিও করতে পারে। এটিও ম্যানিক এপিসোডের মত কিছুদিন স্থায়ী হয় এবং আবার ম্যানিক শুরু হয়। এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।
এটি একটি মারাত্মক রোগ। প্রতি বছর এ রোগের কারনে অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করছে এবং জীবনভর মানসিকভাবে কষ্ট ভোগ করছে। তাই আপনাদের কারো মাঝে এ ধরণের লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন। যদিও এ রোগের কারন এবং প্রতিকার ও প্রতিরোধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি তবে কিছু ওষুধ গ্রহণ করে এ রোগ প্রশমিত করে রাখা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, রোগীর আপনজনদের এ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রোগীর সাথে সেরকম আচরণ করলে রোগী অনেকাংশে সুস্থ থাকবে।
---------------
বিপোলার রোগটি সম্পর্কে আমাদের জানাটা খুব জরুরি। এর কারন এটি এমন একটি রোগ যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই অগ্রাহ্য করে কিন্তু তার ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হয়। অগ্রাহ্য করার কারন হল মুলত এটি মানসিক রোগ এবং এ রোগের লক্ষণগুলো অনেকের কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হবে না। অর্থাৎ রোগী পাগলের মত আচরণ করে- মোটেও সেরকম কিছু নয়।
পরিচিতি:-"বাইপোলার" হল এমন এক ধরনের মানসিক অসুখ যার ফলে একজন মানুষ একটি সময়ের (যেমন:দিন,মাস বা বছর) নির্দিষ্ট অংশে খুবই প্রফুল্ল বা খুশি থাকে এবং বাকি অংশ ডিপ্রেশনে অর্থ্যাৎ হতাশায় আক্রান্ত হয়। যেমন বিপোলারে আক্রান্ত কেউ একজন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুব খুশি,এনার্জেটিক
আপনার বিপোলার আছে কিনা তা যাচাই করতে বিপোলারের লক্ষণগুলো ভালোভাবে জানতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ম্যানিক ও ডিপ্রেশন এপিসোডে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ করে। যেমন:-
ম্যানিক:- এ সময় রোগী মাত্রাতিরিক্তভা
ডিপ্রেশন:-ম্যানিকের পরপরই শুরু হয় ডিপ্রেশন। এসময় রোগী বিভিন্ন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রবল হতাশা অনুভব করে। রাগের মাত্রা বেড়ে যায়। মানসিকভাবে ভেংগে পড়ে। মোটিভেশন একদম থাকে না। ম্যানিকের সময়ে যে সব কাজ শুরু করেছিল তার প্রতি, মূহুর্তেই সব আগ্রহে উঠে যায় ফলে কাজগুলো আর শেষ করা হয় না । নিজেকে অসহায় মনে হয়। ঘুম বেশি হয় বা একবারে কম হয়। রোগী আত্মহত্যা করতে পর্যন্ত উদ্যত হয়। হিসাব মতে এ রোগে আক্রান্তদের প্রায় ৫০% মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এছাড়া নিজের শারীরিক ক্ষতিও করতে পারে। এটিও ম্যানিক এপিসোডের মত কিছুদিন স্থায়ী হয় এবং আবার ম্যানিক শুরু হয়। এভাবে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।
![]() |
বিপোলার সিন্ড্রম |
এটি একটি মারাত্মক রোগ। প্রতি বছর এ রোগের কারনে অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করছে এবং জীবনভর মানসিকভাবে কষ্ট ভোগ করছে। তাই আপনাদের কারো মাঝে এ ধরণের লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন। যদিও এ রোগের কারন এবং প্রতিকার ও প্রতিরোধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি তবে কিছু ওষুধ গ্রহণ করে এ রোগ প্রশমিত করে রাখা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, রোগীর আপনজনদের এ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রোগীর সাথে সেরকম আচরণ করলে রোগী অনেকাংশে সুস্থ থাকবে।