বুদ্ধিমত্তা ও আই কিউ
বই মুখস্ত করে ভালো রেজাল্ট করে মেধাবী উপাধী লাভ আর সত্যিকারের মেধাবী হওয়া সম্পুর্ণ আলাদা ব্যাপার। যদিও আমাদের সমাজে মুখস্তবিদ্যাই বেশি প্রশংসিত। মেধা বা বুদ্ধিমত্তার সাথে মুখস্ত করতে পারার বা মনে রাখতে পারার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইন্সটাইন প্রায়ই তার বাসার ঠিকানা ভুলে যেতেন। তাই তিনি কাগজে তার বাসার ঠিকানাটা লিখে রাখতেন! বুদ্ধিমান মানুষদের মনে রাখার ক্ষমতা কম হতেই পারে। আবার কোনো মানুষের স্মরণশক্তি বেশি হলেই যে সে বুদ্ধিমান হবে তা অবশ্যই নয়। তাহলে বুদ্ধিমত্তা কি?
প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধিমত্তা বা মেধা হল যেকোনো ধরণের অচেনা সমস্যা সমাধান করার সামর্থ্য । সমস্যা যেকোনো রকমেরই হতে পারে। গণিতের সমস্যাগুলো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনের সকল সমস্যাই এর অন্তর্ভূক্ত । যেমন একজন পরিচিত মানুষের কু প্রস্তাবে না বলার দক্ষতাটাও বুদ্ধিমত্তার অংশ। যে যত সহজে কম সময়ে যত বেশি সমস্যা সমাধান করতে পারে তার বুদ্ধিমত্তাও ততই বেশি।
মেধা বা বুদ্ধিমত্তার পরিমাণ মূলত জন্মগতভাবে নির্ধারিত । এছাড়া শিশুকালে পরিবেশ-পরিস্থিতিও কিছু অংশে প্রভাব ফেলে। মনোবিজ্ঞানীদের ধারণা মতে আমারা আমাদের বাবা ও মা দুজনের বুদ্ধিমত্তার কিছু অংশ করে পেয়ে থাকি। তাই যাদের বুদ্ধিমত্তা অন্যদের থেকে বেশি, অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, তাদের বাবা ও মায়েরও বুদ্ধিমত্তা অন্য মানুষদের বাবা মায়ের চেয়ে বেশি। একটি বৈজ্ঞানিক রিসার্চের মাধ্যমে জানা যায় যে আপনার জীবনসংগী যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে যে বাচ্চার জন্ম দেবেন তার বুদ্ধিমত্তা, জীবনসংগী কম বুদ্ধিমান হলে যে বাচ্চার জন্ম দেবেন তার বুদ্ধিমত্তার চেয়ে অনেক বেশি হবে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা মোটামুটি যৌবনে পদার্পনের পরে আর বৃদ্ধিপায় না। তবে এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পায় বলে আমাদের কাছে মনে হয় যতই বয়স হয় ততই বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিপায়। আবার কৃত্রিমভাবে বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোও যেতে পারে। তবে তা খুবই সল্প পরিমাণে। আমরা এই পোষ্টে বুদ্ধিমত্তার পরিমাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এবং এর পরবর্তী পোস্টে বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিকরার কিছু উপায় বর্ণনা করা হবে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা মোটামুটি যৌবনে পদার্পনের পরে আর বৃদ্ধিপায় না। তবে এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পায় বলে আমাদের কাছে মনে হয় যতই বয়স হয় ততই বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিপায়। আবার কৃত্রিমভাবে বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোও যেতে পারে। তবে তা খুবই সল্প পরিমাণে। আমরা এই পোষ্টে বুদ্ধিমত্তার পরিমাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এবং এর পরবর্তী পোস্টে বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিকরার কিছু উপায় বর্ণনা করা হবে।
বুদ্ধিমত্তাকে একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী ৯ ভাগে ভাগ করেছেন। একজন মানুষের এই ৯ ধরনের বুদ্ধিমত্তার সবকটিরই কিছু না কিছু পরিমাণে রয়েছে। নিচে নয়টি বুদ্ধিমত্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল।
১)নেচারালিস্ট বা প্রকৃতি সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
২)সংগীত সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৩)যুক্তি-গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা।
৪)আধ্যাত্মিক বুদ্ধিমত্তা।
৫)ইন্টারপার্সোনাল বা অন্যের সাথে সম্পর্ক সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৬)ইন্ট্রাপার্সোনাল বা নিজের সাথে সম্পর্ক সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৭)ভাষা অর্থাৎ মনের ভাব সুচারুরূপে ব্যক্ত করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৮)স্থান বা বস্তু সম্পর্কিত বুদ্ধিমত্তা। যেমন: ছবি আঁকার বুদ্ধিমত্তা।
৯)শরীর সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
২)সংগীত সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৩)যুক্তি-গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা।
৪)আধ্যাত্মিক বুদ্ধিমত্তা।
৫)ইন্টারপার্সোনাল বা অন্যের সাথে সম্পর্ক সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৬)ইন্ট্রাপার্সোনাল বা নিজের সাথে সম্পর্ক সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৭)ভাষা অর্থাৎ মনের ভাব সুচারুরূপে ব্যক্ত করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
৮)স্থান বা বস্তু সম্পর্কিত বুদ্ধিমত্তা। যেমন: ছবি আঁকার বুদ্ধিমত্তা।
৯)শরীর সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা।
এই নয় ধরণের বুদ্ধিমত্তা আছে বলেই মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। তবে এই বুদ্ধিমত্তাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হলো যুক্তি বা গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা। তারপর যেটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেটা বলা যেতে পারে ইন্ট্রাপার্সোনাল বুদ্ধিমত্তা। এর কারন অন্যদিন আলোচনা করা হবে। আজকের এই পোস্ট মূলত লজিকাল বা গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। আমারা সাধারনভাবে বুদ্ধিমত্তা বলতে এই বুদ্ধিমত্তাকেই বুঝিয়ে থাকি। এবং এ পোস্টে এখন থেকে বুদ্ধিমত্তা বলতে এ ধরনের বুদ্ধিমত্তাকেই বুঝব।
আমাদের গুরুজনেরা অনেক সময় বলে থাকেন-"সকলেরই সমান মেধা আছে। শুধু চেষ্টা করলেই হয়!" কথাটা মোটেও সত্যি না। আমাদের সকলের মেধা বা বুদ্ধিমত্তা সমান নয়। সমান না হওয়ার কারন হল জীনগত ও পরিবেশগত ভিন্নতা। বুদ্ধিমত্তা একজনের চেয়ে আরেকজনের কম না বেশি তা জানার জন্য অবশ্যই পরিমাপ করতে হবে। পরিমাপ করে তুলনা করলেই আমরা সেটা পেয়ে যাব। বুদ্ধিমত্তা পরিমাপের এই পদ্ধতি হল আই কিউ টেস্ট (IQ Test)। I.Q এর পূর্ণরুপ Intelligence Quotient. সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রচলন রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিতে হলে আই কিউ স্কোর প্রদর্শন করতে হয়। আই কিউ টেস্ট নেয় এমন একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান হল মেনসা। এটি থেকে যে কেউ তার আই কিউ টেস্ট করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিতে পারে। সাধারণত আই কিউ টেস্টের প্রশ্নগুলো প্রকাশ করা হয় না। এর কারন, একই সমস্যা সমাধান করে গিয়ে আবার সেই সমস্যায় পরীক্ষা দেয়াতে কোনো বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় না। তবে আই কিউ টেস্টটে মাল্টিপল চয়েস কোশচেনের সাথে সাথে সাথে মৌখিক প্রশ্ন করা হয় এবং বিভিন্ন কাজ বা সমস্যার সমাধান করতে দেয়া হয় যাতে ক্রিটিক্যাল চিন্তা করার প্রয়োজন পড়ে। এখানে সমস্যা বলতে খাতা কলমের মাধ্যমে যে সমস্যা প্রদান করা হয় তা নয়, বরং বাস্তবিক সমস্যা। যেমন: একটি অকেজ যন্ত্র নিজ বুদ্ধি ব্যবহার করে সচল করা।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের ধরে দিয়ে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। যেকোনো বয়সের মানুষই পরীক্ষা দিতে পারে। তবে বয়স স্কোরে একটি বিরাট প্রভাব ফেলে। যেমন ১০ বছরের একজন শিশু আর ৩০ বছরের একজন মানুষ যদি একই সংখ্যক সমস্যারর সমাধান করে তাহলে ১০ বছরের শিশুর স্কোর বেশি হবে। অর্থাৎ তার বুদ্ধিমত্তা বেশি।
মেনসা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্টান। তবে বাংলাদেশে এর কোনো শাখা নেই। বাংলাদেশের অনেক সাইকোলোজিস্টরা অর্থের বিনিময়ে আই কিউ টেস্ট করে থাকেন। তবে আপনি যদি খুব আগ্রহী হন তাহলে ইন্টারনেট থেকেও ফ্রিতে আপনার আই কিউ সম্পর্কে মোটামোটি একটা ধারণা পেতে পারেন। গুগল করলেই এমন অনেক সাইট পাবেন যারা ফ্রিতে আপনার আইকিউ টেস্ট করে দেবে। সেক্ষেত্রে আপনি মেনসার অফিসিয়াল সাইট থেকে সহজেই আপনার আইকিউ টেস্ট করতে পারেন। তবে অনলাইন আইকিউ টেস্ট মোটেও আসল আইকিউ টেস্টের মতো গ্রহনযোগ্য নয়। এর কারন একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন। এছাড়া অনেক সাইট, আপনাকে খুশি করার জন্য বেশি স্কোর দিয়ে দেবে। তাই অবশ্যই একাধিক সাইট থেকে আইকিউ টেস্ট করে দেখবেন।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের ধরে দিয়ে পরীক্ষাটি নেওয়া হয়। যেকোনো বয়সের মানুষই পরীক্ষা দিতে পারে। তবে বয়স স্কোরে একটি বিরাট প্রভাব ফেলে। যেমন ১০ বছরের একজন শিশু আর ৩০ বছরের একজন মানুষ যদি একই সংখ্যক সমস্যারর সমাধান করে তাহলে ১০ বছরের শিশুর স্কোর বেশি হবে। অর্থাৎ তার বুদ্ধিমত্তা বেশি।
মেনসা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্টান। তবে বাংলাদেশে এর কোনো শাখা নেই। বাংলাদেশের অনেক সাইকোলোজিস্টরা অর্থের বিনিময়ে আই কিউ টেস্ট করে থাকেন। তবে আপনি যদি খুব আগ্রহী হন তাহলে ইন্টারনেট থেকেও ফ্রিতে আপনার আই কিউ সম্পর্কে মোটামোটি একটা ধারণা পেতে পারেন। গুগল করলেই এমন অনেক সাইট পাবেন যারা ফ্রিতে আপনার আইকিউ টেস্ট করে দেবে। সেক্ষেত্রে আপনি মেনসার অফিসিয়াল সাইট থেকে সহজেই আপনার আইকিউ টেস্ট করতে পারেন। তবে অনলাইন আইকিউ টেস্ট মোটেও আসল আইকিউ টেস্টের মতো গ্রহনযোগ্য নয়। এর কারন একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন। এছাড়া অনেক সাইট, আপনাকে খুশি করার জন্য বেশি স্কোর দিয়ে দেবে। তাই অবশ্যই একাধিক সাইট থেকে আইকিউ টেস্ট করে দেখবেন।
আই কিউ স্কোরিং:-
আপনার আইকিউ স্কোর যদি হয় :-(16 deviation)
১) ০-৭০ ---তাহলে আপনি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত। আপনার বুদ্ধিমত্তা আশ্চর্যজনকভাবে কম! পৃথিবীতে আপনার মতো মানুষ খুবই কম। মাত্র ২.১%।
২)৭০-৮৪ ---তাহলে বলা যায় আপনি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত হওয়ার বর্ডার লাইনে দাঁড়িয়ে । আপনার বুদ্ধিমত্তা খুবই কম। পৃথিবীতে আপনার মত মানুষ রয়েছে ১৪%।
৩)৮৫-১১৪--- আপনার বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক। খুব বেশি না আবার খুব কমও না। মধ্যম শ্রেনীর। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ আপনার মতো। প্রায় ৬৮% মানুষ মধ্যম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন।
৪)১১৫-১২৯--আপনার বুদ্ধিমত্তা উন্নত ধরনের। মধ্যম শ্রেনীর মানুষদের থেকে বেশি। পৃথিবীতে আপনার মতো মানুষের সংখ্যা ১৪%।
৫)১৩০-১৪৪--- আপনি হলেন হলেন গিফটেড মানুষ। প্রচন্ড বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন। পৃথিবীতে আপনার মতো সৌভাগ্যবান মানুষ খুবই কম আছে। মাত্র ২%।
৬)১৪৫~ ---- আপনার আই কিউ স্কোর যদি ১৪৫ বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে আপনাকে কনগ্রাচুলেশন্স। আপনি হলে এক্সপেকশনালি গিফটেড। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় আপনি একজন জিনিয়াস। মুলত যাদের আইকিউ স্কোর ১৪০ এর বেশি তাদের জিনিয়াস বলা হয়। যেমন মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইন্সটাইন। যাঁর আইকিউ ছিল ১৬৫। এছাড়া প্রায় সকল বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা আছেন এই গ্রুপে। পৃথিবীতে মাত্র ০.১% মানুষ আছেন যারা এ স্কোর করতে পারেন। আপনি যদি এরকম স্কোর করেন তাহলে আপনি মেনসার মেমবার হতে পারেন। মেনসার মেমমার হওয়া অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এছাড়া আপনার এই প্রচন্ড বুদ্ধিমত্তা আপনাকে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে।
তবে সাফল্য লাভ করতে হলে শুধু বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং কঠোর পরিশ্রমেরও সমান প্রয়োজন রয়েছে। কথিত আছে :- HARD WORK BEATS INTELLIGENCE WHEN INTELLIGENCE DOESN'T WORK HARD!