Monday, May 1, 2017

Butterfly

চকলেটের ৯টি বিস্ময়কর উপকারিতা যা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত



চকলেট পছন্দ করেনা এমন মানুষ কমই আছে। নিজের প্রিয় খাবারটি একদিকে যখন মুখরোচক তেমনি উপাদেয় হলে কার না ভালো লাগে! কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশই জানে না চকলেট একটি অতি উচ্চ মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য। আমরা আমাদের সন্তানদের চকলেট খেতে দেই না এই ভয়ে যে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়! অথচ যথাযথভাবে দাঁত মাজলেই তা প্রতিরোধ করা যায়। অন্যদিকে চকলেট খাওয়ার মাধ্যমে যে উপকারগুলো হয় তা মোটেও কম নয়। তাই দেখেনিন চকলেটের অবিশ্বাস্যকর ৯টি উপকারিতা যা বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন। তবে সব চকলেটেই এসব উপকার পাওয়া যাবে না, বিশেষত কালো রঙের চকলেট (যেমন: ডেইরি মিল্ক) বা যেগুলোতে ৭০% বা তার বেশি কোকোয়া পাউডার মিশ্রিত থাকে সেগুলোতে এ উপকারগুলো পাওয়া সম্ভব।



১)চকলেট হার্ট এ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুকি কমায়। 

একাধিক গবেষণা মতে যারা নিয়মিত সামান্য পরিমাণে চকলেট খায় তাদের হার্টের রোগ হওয়ার ঝুকি অন্যদের থেকে কম হয়।
University of Aberdeen এর একটি গবেষণা অনুযায়ী নিয়মিত চকলেট গ্রহণে অন্যদের তুলনায় হৃদরোগ হওয়ার ঝুকি ১১% কমে যায় এবং স্ট্রোকের ঝুকি কমে ২৩%।


২)নিয়মিত চকলেট গ্রহণ করলে ব্রেইন এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং গণিতে দক্ষতা বেড়ে যায়!

এছাড়া গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ব্রেইনের কার্যক্ষমতা যে হারে হ্রাস পেতে থাকে চকলেট খেলে হ্রাস পাওয়ার হার কমে যায়।


৩)চকলেট মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।  

একটি গবেষণায় দেখা যায় যে যারা নিয়মিত চকলেট খায় তারা অন্যদের তুলনায় ২৫% বেশি ভালোভাবে মনে রাখতে পারে।


৪)চকলেট দুষ্চিন্তা কমায়।

সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষকদের গবেষণা মতে আরা ডার্ক চকলেট গ্রহণ করে যেগুলোতে ৭০% এর বেশি কোকোয়া পাউডার থাকে তাদের দুষ্চিন্তা কমে যায়।


এছাড়া:- 

৫)চকলেট দেহকে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।  

৬)ব্লাড প্রেশার কমায়।

৭)কাশি হওয়া কমিয়ে দেয়।

৮)কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

৯)ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায়।




References :-

1)http://www.bbc.com/news/uk-scotland-north-east-orkney-shetland-33145215

2)http://www.telegraph.co.uk/news/newstopics/howaboutthat/12167289/Eating-chocolate-improves-brain-function-study.html

3)https://mobile.nytimes.com/2014/10/27/us/a-bite-to-remember-chocolate-is-shown-to-aid-memory.html

4-9)http://www.lifehack.org/articles/lifestyle/20-health-benefits-chocolate.html


Read More

Thursday, April 27, 2017

Butterfly

১২ টি উপায়ে আত্মবিশ্বাসী না হয়েও অন্যকে বোঝাবেন, আপনি আত্মবিশ্বাসী


আত্মবিশ্বাস  মানুষের এমন একটি গুণ যা তাকে সফলতার শীর্ষে পৌছে দেয়। অন্যরা যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করে, একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ সে সময়ে কি করা উচিত তা নির্ধারণ করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে উন্নতি লাভ করে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস আমাদের কয়েক ধাপ এগিয়ে রাখে।সাধারণত আমরা একজন মানুষকে পছন্দ করি কয়েকটি বিষয়ের ভিত্তিতে, যেমন : সৌন্দর্য, আচার-আচরণ, বুদ্ধিমত্তা! কিন্তু মনের অজান্তেই হোক আর জানায়, যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আমাদের মনকাড়ে তা হল আত্মবিশ্বাস! কখনো ভেবে দেখেছেন অধিকাংশ মেয়েরা খারাপ ছেলেদেরই কেন পছন্দ করে? কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস সাধারণ ছেলেদের চেয়ে বেশি যা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রবলভাবে । আবার একটি চাকুরির ভাইভাতে আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিটিকেই সকলে অধিক পছন্দ করে।নেতৃত্বদানের জন্য প্রথম ও সর্বপ্রধান শর্ত হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। কারণ আপনি নিজেই যদি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন তাহলে আপনার দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই জীবনে সফলতা অর্জনে আত্মবিশ্বাসের পরিপূরক কিছু হতে পারে না। কিন্তু এটা সত্য যে সকলেই জন্মগতভাবে আত্মবিশ্বাসী হয় না। তবে চেষ্টা করলেই নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসা যায়।

নিচের টিপসগুলো ফলো করলে আপনি আত্মবিশ্বাসী না হয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার সুফল লাভ করবেন এবং অন্যকে বোঝাতে পারবেন আপনি আত্মবিশ্বাসী:-


১)সোজা হয়ে দাঁড়ান।  

একটি সুন্দর দেহভঙ্গির মাধ্যমে আপনাকে প্রায় দিগুণ বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখাবে। তাই এটি প্রথমেই বলে নেওয়া উচিত। দেহকে এমনভাবে রাখবেন যেন আপনার মাথায় কেউ দড়ি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে! দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আপনার দু পায়ের গোড়ালি, কাধের পেছন দিক ও মাথার পেছন দেওয়ালের সাথে স্পর্শ করান। এভাবে দাঁড়ালে আপনাকে অধিক আত্মবিশ্বাসী দেখাবে তাই এভাবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। মাথা সোজা রাখবেন, নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলে বা হাটলে আপনাকে কম আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। বিশেষ করে কাধের পেছন দিকটা সোজা রাখবেন, সামনের দিকে ঝুকাবেন না। বসার সময়েও একই পন্থা অবলম্বন করবেন।
Stand Tall



২)যতটা সম্ভব নিজের জন্য জায়গা নিন।

কম আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা তাদের ইনসিকিউর মনোভাবের কারনে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। অর্থাৎ খুব কম জায়গা নিয়ে তারা বসে থাকে বা দাঁড়ায়। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য জায়গা নিন। হাত পা ছড়িয়ে বসুন। যাতে আপনার দেহ অনেকটা জায়গা নিয়ে নেয়। এভাবে আপনি অন্যকে বোঝাতে পারবেন আপনি অনেক আত্মবিশ্বাসী।


৩)সুন্দর পোশাক পড়ুন।

একটি আকর্ষণীয় পোশাক আপনার নিজের সম্পর্কে একটি ভালো ইমপ্রেশন দেবে যার ফলে আপনি তৎক্ষণাৎ অধিক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।


৪)প্রথমে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করুন

যদি সম্ভব হয় তবে আপনি আগে হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করুন। অন্যজনের হাত খুব হালকাভাবে ধরলে মনে হবে আপনি নার্ভাস, তাই মোটামুটি শক্ত করে ধরুন। এবং মনোবিজ্ঞান বলে গরম হাতে হ্যান্ডশেক করলে অপর মানুষটি আপনাকে বেশি পছন্দ করবে।


৫)মুচকি হাসুন।

হাসি উচ্চ আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ। তাই সম্ভব হলে সবসময় মুচকি হাসুন। তবে মেকী হাসি না হাসাই ভালো। হাসির অভিনয় করলে সহজেই ধরা পড়ে যেতে পারেন।তাই আগে আয়নার সামনে সুন্দর করে মুচকি হাসার প্রাকটিস করুন এবং সর্বদা মুখে হাসি রাখুন।


৬)চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।

চোখে চোখ রেখে কথা বলার সময় আপনি অন্যের ব্রেনে মেসেজ পাঠাচ্ছেন যে আপনি খুব আগ্রহের সাথে কথা বলছেন আপনি সবকিছু গুরুত্বসহকারে শুনছেন। স্বভাবতই অপর মানুষটি আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ধরে নেবে এবং আপনাকে পছন্দ করবে ।


৭)ধীরে সুস্থে ও আস্তে কথা বলুন।

মানুষ যখন খুব ভয় পায় ও নার্ভাস হয়ে যায় তখন খুব দ্রুত ও জোরে কথা বলে। কিন্তু আপনি যদি ধিরে ও আস্তে কথা বলেন তবে সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে পারবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ শব্দে জোর দিতে পারবেন। এতে আপনাকে অনেক বেশি কনফিডেন্ড লাগবে। তাই সর্বদা ধীরে ও আস্তে শব্দ করে কথা বলুন।


৮)হাত নাড়িয়ে কথা বলুন।

এটি একটি অসাধারণ কার্যকরী উপায়। সঠিকভাবে হাত নাড়িয়ে কথা বললে শ্রোতার মষ্তিষ্ক আপনাআপনি ধরে নেবে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে কথা বলছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে হাত নাড়িয়ে কথা বলা সামাজিক ভাবে দৃষ্টিকটু সেদিকটা খেয়াল রাখবেন।


৯)অকারনে ও অতিরঞ্জিত ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন।

পথে কারো সাথে ধাক্কা লেগেছে? আপনার দোষ নেই তবুও আপনি ক্ষমা চেয়েছেন? এটি কম আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ। যেসকল মানুষদের আত্মবিশ্বাস কম, তারা এ কাজটি করে থাকে। তাই আপনার ভুল না হলে কখনো ক্ষমা চাবেন না।


১০)প্লান করে কাজ করুন।

যদি কারো সাথে প্রথম কথা বলতে যান তাহলে আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন কি কি জিজ্ঞাস করবেন। এতে আপনাকে অধিক পরিমাণে আত্মবিশ্বাসী মনে হবে এবং প্লান করে এগুনোর কারনে মনের ভয় কমে আসবে।


১১)নিজেকে জিজ্ঞাস করুন:কি খারাপ হতে পারে?

আত্মবিশ্বাসের প্রধান শত্রু হলো ভয়। তাই ভয়কে জয় করা বাঞ্ছনীয়।যখন কোনো কাজ, হতে পারে কাউকে প্রোপোজ দেওয়ার সময়, ভয়ের কারনে এগুতে পারেন না তখন নিজেকে জিজ্ঞাস করুন: এই কাজটা করলে কি ক্ষতি হবে? সে সমস্যাগুলো হতে পারে সেগুলো কি আপনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না? যদি পারেন তবে কেন কাজটি করে দেখবেন না?


১২)নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হউন।

যেসব কাজ করতে আপনি নার্ভাস হয়ে পড়েন বা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন সেই সব কাজ বেশি বেশি করে করুন। এতে খুব দ্রুত আপনার আত্মবিশ্বাস প্রবল হবে এবং আপনি জীবনের অজানা আনন্দগুলোকে খুজে পাবেন। মনে রাখবেন, আপনার আসল সুখ, আপনার কমফোর্ট জোনের বাইরে।

Confident Look


Read More

Monday, April 17, 2017

Butterfly

একটি সুন্দর ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরি করার প্রধান ১১টি টিপস যাতে অপর ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করে!


একজন মানুষ আপনাকে প্রথমবার দেখামাত্র আপনার সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভ করে যা তার মষ্তিষ্কে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়। আপনি প্রথমবার আপনার সম্পর্কে সরাসরি ও অবচেতনমনে যা জানাবেন তাই হলো ফার্স্ট ইমপ্রেশন। ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরি হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। কিন্তু তা পরিবর্তন করতে লেগে যেতে পারে অনেক সময় ও পরিশ্রম। তাই প্রথমবার দেখামাত্রই যাতে কোনো ব্যক্তি আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করে তার জন্য একটি সুন্দর ও পরিপূর্ণ ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরির বিকল্প নেই। একটি ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন, ভালো সম্পর্ক গঠনের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। সুতরাং একটি কার্যকরী ফার্স্ট ইমপ্রেশন গঠনের জন্য আপনার করণীয়:-

১)সুন্দর পোশাক পড়ুন।  

মানুষ সর্বপ্রথম আপনার বাহ্যিক দিকগুলোর দিকেই নজর দেবে । কেউ আগে দেখবে না আপনি কেমন মনের অধিকারী। পোশাক-পরিচ্ছদ যদি ভালো না হয় তাহলে প্রথমেই আপনার সম্পর্কে একটি খারাপ ধারণা চলে আসবে। তাই যথাসম্ভব সুন্দর ও আকর্ষণীয় উজ্জ্বল রং এর পোশাক পড়ুন। ভুলেও ভাববেন না কেউ আপনার জুতোর দিকে তাকাবেনা! সকলে প্রথমেই আপনার পায়ের দিকেই তাকাবে। তাই অন্তত প্রথম দেখায় ভালো জুতো পড়ে যান।

২)মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখুন।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন কেউ এমন কাউকে পছন্দ করবেনা যার মুখ থেকে গন্ধ আসে এবং দাঁত অপরিষ্কার, যদিনা সে এমন কিছু করে যাতে তার সাথে অন্য মানুষটি কথা বলতে বাধ্য হয়!

৩)হাত গরম রাখুন।

মনোবিজ্ঞান অনুসারে আপনি যখন হ্যান্ডশেক করেন তখন গরম হাতের মানুষটিকে অজান্তেই পছন্দ করে ফেলেন। তাই হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত গরম রাখার চেষ্টা করুন।

৪)মুচকি হাসুন।

যখন আপনি হাসবেন তখন অপর ব্যক্তির মষ্তিষ্কে সিগনাল চলে যাবে- আপনার নিকট হতে ভয়ের কিছু নেই এবং আপনি বন্ধুসুলভ আচরণ করছেন।

৫)আত্মবিশ্বাসী হউন।

মনোবিজ্ঞান অনুসারে মানুষ অধিক আত্মবিশ্বাসী মানুষদের পছন্দ করে। তাই যদি চান অপর ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করুক তবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। আপনি যদি ন্যাচারালি আত্মবিশ্বাসী না হয়ে থাকেন তবে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার অভিনয়ও কাজে দেবে। কিভাবে আত্মবিশ্বাসী না হয়েও অন্যকে বোঝাবেন আপনি আত্মবিশ্বাসী তা যানতে এখানে ক্লিক করুন।

৬)ভালো শ্রোতা হউন।

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভালো শ্রোতা না হলে বক্তা কখনোই আপনাকে পছন্দ করবে না। একজন ভালো শ্রোতা সর্বদা বক্তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে, অন্যদিকে মনোযোগ দেয় না, প্রশ্ন করে এবং যেখানে প্রতিক্রিয়া দরকার সেখানে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখায়। আপনি কিভাবে ভালো শ্রোতা হবেন তা আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন এখানে।

৭)চোখেরর দিকে তাকিয়ে থাকুন।

চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলে অপর ব্যক্তি আপনাকে গুরুত্বসহকারে নেবে এবং আপনি ইন্টারেস্টেড তা বুঝতে পারবে।

৮)অপর ব্যক্তির সম্পর্কে কথা বলুন, আপনার সম্পর্কে নয়।

একটি মহা সত্য বাণী জেনে রাখুন- কেউ আপনার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নয়, সকলে তাদের নিজেদের সম্পর্কে জানাতে বেশি আগ্রহী। আপনি যদি শুধু আপনার সম্পর্কেই বলে যান তাহলে অপর ব্যক্তি বোরিং ফিল করবে। যদি আপনি চান যে অপর ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করুক তাহলে তার ব্যাপার নিয়ে কথা বলুন।তাকে বোঝান যে আপনি তার সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী । মনে রাখবেন: আপনার ব্যাপারে সে জানতে আগ্রহী নয়।

৯)অন্যকে ইমপ্রেস নয় বরং আপনি নিজেই ইমপ্রেসড হউন !

আপনি যদি অন্যকে ইমপ্রেস করার থেকে অন্যের কোনো কিছুতে ইমপ্রেসড হয়েছেন এটা বোঝাতে পারেন তবে বেশি লাভবান হতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি অন্যকে ইম্প্রেস করা বন্ধ করে তাদের সুযোগ দিন যাতে তারা আপনাকে ইমপ্রেস করতে পারে। ছোট ব্যাপার হলেও এমন অভিনয় করবেন যাতে আপনি খুবই ইমপ্রেসড। মনে রাখবেন: প্রায় সবাই অন্যকে ইমপ্রেস করতে চায়। তাই অন্যদের আশা পূর্ণ করুন!

১০)ভুলেও পরনিন্দা করবেন না।

আপনি যদি প্রথম দেখাতেই ব্যক্তির সামনে অন্য কারো পরনিন্দা করেন তবে তার মনে আপনা আপনি ইনসিকিউরিটি তৈরি হয়ে যাবে। সে ভাববে আপনি হয়তোবা তারও নিন্দা করবেন অন্য কারো কাছে। তাই এ কাজটি করবেন না।

১১)প্রশংসা করুন।

 যেকোনো মানুষ নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে! তাই প্রশংসা করার সুযোগ আসলে তা কাজে লাগাতে ভুলবেন না। তবে ভুল প্রশংসা না করাই ভালো। প্রথম মিটেই যদি কোনো মেয়েকে বলেন- 'তোমাকে এই ড্রেসটায় অনেক সুন্দর লাগছে' তাহলে সে ভাবতে পারে - 'তার মানে কি আমাকে অন্য ড্রেসে খারাপ দেখায়!' সুতরাং সঠিকভাবে প্রশংসা করতে শিখুন । আবার একটি সুন্দর মেয়েকে সবাই সুন্দরী বলে প্রশংসা করে, আপনি যদি তার অন্য কোনো গুণ খুজে পান, (যেমন হতে পারে সে বুদ্ধিমান) এবং সেটা নিয়ে প্রশংসা করেন তাহলে সুন্দরী বলে প্রশংসা করার থেকে বেশি খুশি হবে। আবার একটা মেধাবী মেয়েকে সকলে যখন মেধাবী বলে প্রশংসা করে আসছে তখন তাকে সুন্দরী বলে প্রশংসা করলে সে বেশি খুশি হবে। তাই বুদ্ধিমানের মত প্রশংসা করুন।


Read More

Thursday, April 13, 2017

Butterfly

ফার্স্ট ইম্প্রেশন

ভালোলাগা মানুষের সাথে প্রথম দেখা করতে যাচ্ছেন? আপনি কি চান সে আপনাকে পছন্দ করুক? তাহলে আপনার কাছে এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ। কারন প্রথম দেখাতেই মানুষ অবচেতন মনে আপনার সম্পর্কে অনেক খানি ধারণা নিয়ে নেয়। যা পরবর্তিতে পরিবর্তন করতে লেগে যেতে পারে অনেক শ্রম ও সময়!

এই প্রথম দেখা ও আপনার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার ব্যপারটিই হল ফার্স্ট ইম্প্রেশন। প্রথম দেখায় আপনি নিজেকে অপরের কাছে যেভাবে উপস্থাপন করবেন সেটাই হবে আপনার ফার্স্ট ইপ্রেশন। বৈজ্ঞানীকভাবে এটা প্রমাণিত যে মানুষ ফার্স্ট ইম্প্রেশনে অপর মানুষের সম্পর্কে যে সকল তথ্য মষ্তিষ্কে ধারন করে তা পরিবর্তন করা দুষ্কর এবং ব্যক্তিটি আপনাকে পছন্দ করবে কি করবে না তার অনেক খানি নির্ভর করে ফার্স্ট ইম্প্রেশনে। ক্যারিয়ার স্পেশালিষ্টদের মতে একজন মানুষ আপনাকে দেখার প্রথম ৩ সেকেন্ডের মধ্যেই অবচেতন মনে ঠিক করে নেয় আপনাকে সে পছন্দ করবে কি করবেনা! ফার্স্ট ইম্প্রেশন তৈরি হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মিলিসেকেন্ড । এই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যেই একজন মানুষ আপনার সম্পর্কে অসংখ্য ধারণা নিয়ে নিতে পারে । যেমন:-



১)আপনি বিশ্বাসযোগ্য কিনা?

প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান যে একজন মানুষ ১ সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যেই আপনি বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আর বিশ্বাস সুন্দর সম্পর্কের প্রধান শর্ত।


২)আপনি উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ কিনা?

আপনি যদি সুন্দর, দামী পোশাক পড়েন তাহলে সে বুঝবে আপনি উচ্চ শ্রেণির আবার তা না হলে বুঝবে আপনি উচ্চ শ্রেণির নন। আর এই ব্যাপারটি ঘটে চোখের পলকে, যা স্থায়ী থাকে যতক্ষণ না আপনি তাকে পরিপূর্ণরূপে বোঝাচ্ছেন যে আপনি আসলে তা নন! তাই অন্তত প্রথমবার ভালো পোশাক পড়ে দেখা করুন!


৩)আপনি স্মার্ট কিনা?

ফার্স্ট ইম্প্রেশনে লোকটি বুঝে যেতে পারে আপনি কতটা চালাক বা স্মার্ট। যে ধারণাটা আপনি প্রথম দেখাতে দেবেন তা পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করা কষ্টকর হবে।


৪)আপনি কি ধার্মিক?

আপনি কতটুকু ধার্মিক তা একজন মানুষ প্রথম দেখাতেই ধারণা করে নিতে পারে।


আপনি অনেক মানুষের মাঝে থাকতে ভালোবাসেন নাকি একা থাকতে ভালোবাসেন এই প্রশ্নের উত্তর মানুষ আপনাকে প্রথম দেখাতেই পেয়ে যেতে পারেন।


৬)আপনি ন্যায়নিষ্ঠ কিনা?

লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষনায় দেখা যায় যে মানুষ আপনার ছবি দেখেই আপনি কতটুকু নীতিবান তা প্রায় সঠিকভাবে ধারনা করতে সক্ষম! তাই ফার্স্ট ইম্প্রেশনেই আপনার ন্যায়নিষ্ঠতা সম্পর্কে ধারনা লাভ অসম্ভব কিছু না।


ফার্স্ট ইম্প্রেশনে আরো অনেক তথ্য অবচেতন মনেই আমাদের মষ্তিষ্কে রক্ষিত হয়ে থাকে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি ফার্স্ট ইম্প্রেশনকে অনেক্ষানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার ফার্স্ট ইম্প্রেশন ভালো হলে অপর ব্যক্তি আপনাকে অবশ্যই পছন্দ করবে। কিভাবে একটা জাদুকরী ফার্স্ট ইম্প্রেশন দেবেন যাতে অপর ব্যক্তি আপনাকে পছন্দ করে তা নিয়ে অপর পোষ্টে আলোচনা করা হবে।
Read More

Friday, April 7, 2017

Butterfly

এই ১৩টি কাজ নির্দেশ করে আপনার আত্মবিশ্বাস কম

সাফল্য লাভের জালানি যেমন আত্মবিশ্বাস তেমনি আত্মবিশ্বাসের অভাব আপনার ব্যর্থতার প্রধান কারন। আপনার সৌন্দর্য যেমন অন্যকে আকর্ষিত করে, তেমনি প্রবল আত্মবিশ্বাস সকলের নিকটই খুব আকর্ষণীয়। অন্যদিকে নিম্ন আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। তাই আত্মবিশ্বাস তৈরি করা খুবই জরুরি। তবে তার আগে জানতে হবে আপনার আত্মবিশ্বাস কি সত্যিই কম?
নিচের লক্ষণগুলো আপনার মাঝে থাকলে বুঝতে হবে আপনার আত্মবিশ্বাস কম :-

১)আপনি জানেন- আপনার দ্বারা সম্ভব নয়! 

কোনো কাজ করার আগেই যখন আপনি ভাববেন - আপনার দ্বারা এই কাজ সফল করা সম্ভব নয় তখন বুঝবেন আপনার আত্মবিশ্বাসের বিরাট অভাব রয়েছে।

২)আপনি সহজে না বলতে পারেন না। 

কেউ কোনো বিষয়ে আপনাকে প্রস্তাব দিল। আপনার সেটা ভালো লাগছে না।আপনি তবুও রাজি হয়ে গেলেন। অথচ না বললে কোনো সমস্যা হত না। এটা নিম্ন আত্মবিশ্বাসের লক্ষণ।

৩)আপনি অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করেন।

কম আত্মবিশ্বাসী লোকেরা নিজেকে অন্য মানুষদের সাথে তুলনা করে এবং তাদের সফলতায় নিজেকে অপমান করে।অন্যের সাথে তুলনা করা আত্মবিশ্বাসের অভাবের লক্ষণ।

৪)আপনি খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ অর্জনের প্রচেষ্টা ছেড়ে দেন। 

আপনার যদি আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে তাহলে এর ফলাফল হিসেবে আপনি নিজেকে ছোট করে দেখবেন এবং জীবনের লক্ষ ও ছোট ছোট উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের প্রচেষ্টা শুরু করার পূর্বেই আগ্রহ হারিয়ে সেগুলো বাদ দিয়ে দেবেন।

৫)অন্যের প্রশংসা করতে ও প্রশংসার উত্তর দিতে আপনি অপটু। 

যাদের আত্মবিশ্বাস কম তারা নিজেকে অন্যের করা প্রশংসার যোগ্য মনে করে না। তাই কেউ তাদের প্রশংসা করলে তারা তার সহজ সুন্দর উত্তর দিতে পারে না। আবার একইভাবে তারা অন্যের যোগ্য প্রশংসা করতেও অদক্ষ।

৬) আপনি দায়িত্ব নিতে ভয় পান। 

এধরনের মানুষের দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা এরিয়ে চলেন। তাই বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের জন্য দুষ্কর। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আসলে তারা প্রচন্ড মানসিক চাপ অনুভব করেন।

৭)আপনি অন্যের মনোযোগ আকর্ষণে আগ্রহী এবং ভিন্ন রকম হওয়ার ভান করেন।

কম আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা অন্যের মনোযোগ পায় না। তাই তারা অন্যের মনোযোগ পাওয়ার জন্য নিম্নমানের কৌশল অবলম্বন করে। তারা যা নয় তা হওয়ার অভিনয় করে অন্যকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করে। যেমন নিজের পছন্দের কাপড় না কিনে অন্যকে ইম্প্রেস করার জন্য অন্য কোনো কাপড় কেনেন!

৮)আপনার ভুল না থাকলেও আপনি ক্ষমা চান! 

রাস্তার কেউ আপনাকে ধাক্কা দিলেও যদি আপনিই তার কাছে ক্ষমা চান তাহলে বুঝবেন আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। সচরাচর কম আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা মনে করে যা ভুলই হোক না কেন তা কেবল তার জন্যই হয়েছে!

৯)আপনি ভাগ্যের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল!

যাদের আত্মবিশ্বাস কম তারা সর্বদা ভাবে ভাগ্যে যা আছে তাই হবে! তারা কোনো সফলতা পেলেও নিজেকে তার যোগ্য মনে করে না এবং বলে ভাগ্যে ছিল বলে পেয়েছে তা নাহলে সে তা পাওয়ার যোগ্য ছিল না ! আবার খারাপ কিছু হলে সেটাও নিজের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়।

১০)আপনি বারংবার অকারনে ফোন চেক করেন। 

কম আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন মানুষেরা সামাজিক স্থানে, উদাহারনসরূপ কোনো পার্টিতে একটু সময়ের জন্য একা হলেই ফোন বের করে ফোন ব্যবহার করা শুরু করে। তারা অন্যের সাথে কথা বলতে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে ফোন চেক করতেই বেশি আগ্রহী হয়!

১১)হোটেল বা রেস্টুরেন্টে কি খাবেন তার সিন্ধান্ত নিয়ে আপনার অনেক সময় লেগে যায়!

যেসকল মানুষের আত্মবিশ্বাস কম তারা এসকল ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতেও অনেক চাপ অনুভব করে । আবার এসকল মানুষ খুব বেশি সিন্ধান্ত পরিবর্তন করে।

১২)আপনি মিথ্যা বলতে একদম পারেন না। 

জীবনের চলার পথে অনেক সময় মিথ্যা বলার প্রয়োজন পরে। মিথ্যাকে সত্যের মতো গুছিয়ে বলতে পারলেই তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু কম আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা ঠিকমতো মিথ্যা বলতে পারে না। তাদের বলা মিথ্যা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ঠেকে না!

১৩)আপনি সকলের সম্মতি লাভে আগ্রহী। 

কম আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা সকলের সম্মতি রক্ষা করে চলে। এরা চায় কেউ যেন তাকে খারাপ চোখে না দেখে বা কেউ তার কাজে বাধা না দেয়। তাই তারা সকলের মন যোগিয়ে কাজ করে। সর্বদা এই ভয়ে থাকে কেউ বুঝি তার কাজ অপছন্দ করল!


Read More

Tuesday, April 4, 2017

Butterfly

যে ১০টি কারণে মানুষ আপনাকে সিরিয়াসলি নেয় না

আপনি কাউকে একটা কথা বললেন কিন্তু আশানুরূপ মনোযোগ পেলেন না ।  সে আপনার কথার কোনো গুরুত্বই দিলনা। গ্রুপে আপনি কোনো ভালো আইডিয়া দিতে চাচ্ছেন কিন্তু কেউ আপনার কথা শুনছেই না। আপনাকে তারা সিরিয়াসলি নিচ্ছে না! এরকম অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি নিশ্চয়ই নিজেকে অন্যের নিকট গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করাতে আগ্রহী।  কিন্তু কেন কেউ আপনার কথায় কোনো গুরুত্ব দেয় না তা জানলে  আপনি নিজেকে সুধরে নিতে পারেন। এতে আপনি সবার নিকট যথার্থ মনোযোগ পাবেন।  তাই আসুন জেনে নেই কি কি কাজ করলে মানুষ আপনাকে সিরিয়াসলি নেওয়া বন্ধ করে:-

১)আপনি কথা দিয়ে কথা রাখেন না
ধরুন আপনি আপনার কোনো বন্ধুকে বললেন আমি কাল অবশ্যই কলেজে আসব।  কিন্তু দেখা গেল আপনি আসলেন না।  কেউ আপনাকে কোনো কাজ করতে বলল।  আপনি কাজ করতে চাইলেন কিন্তু শেষমেশ করলেন না।  কাউকে বললেন আমি ১০দিনের মাঝে এটা কমপ্লিট করব।  কিন্তু কথা রাখতে পারলেন না।  বন্ধুদের জানালেন মেয়েটাকে আজকেই প্রোপোজ করবেন!  কিন্তু করলেন না! এসকল কম গুরুতর কথা দিয়ে কথা না রাখলেই অন্যেরা আপনাকে সিরিয়াসলি নেওয়া বন্ধ করবে।  তাই কথা রাখতে পারবেন কিনা তা সন্দেহে থাকলে অবশ্যই কথা দেবেন না এবং কথা দিলে অবশ্যই পুর্ণ করবেন।

২)আপনি সবসময় কৌতুক করে থাকেন!
অনেক মানুষ আছে যারা প্রায় সবকিছুতে হাসার খোঁড়াক পায়।  অন্যকে হাসাতে ভালোবাসে এবং নিজেও হাসে।  এটা মোটেও খারাপ কিছু না কিন্তু এক্ষেত্রে এই কৌতুকপ্রবণতা আপনার কথা অন্যের কাছে কম গুরুতবহ করে তোলে।  আবার অনেকে কৌতুক করার সময়  যাতে পরিবেশটা বেশি হাস্যকর হয় তাই  সিরিয়াস মুডে থাকার অভিনয় করে ।এভাবে কৌতুক করলে আপনাকে মানুষ সিরিয়াসলি নেবে না।  তাই কৌতুক করবেন খুব কম এবং যখন কৌতুক করবেন তখন এমনভাবে কৌতুক করবেন যাতে সকলে বুঝতে পারে আপনি কৌতুক করছেন।  এতে তারা সহজে আপনার সিরিয়াস মুড ও কৌতুক মুডকে পৃথক করতে পারবে।

৩)অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন!
বেশিরভাগ মানুষই গুরুত্বপুর্ণ কথার সময় অপ্রয়োজনীয় কথা শুনতে পছন্দ করে না। কিন্তু আপনি যদি এমন হন যে বেশিরভাগ সময়ই অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন তবে যখন আপনি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন তখন মানুষ ভাববে আপনি এখনো অপ্রয়োজনীয় কথা বলছেন!  তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বন্ধ করুন।  আপনি যত কম কথা বলবেন আপনার কথার মূল্য ততই বেশি হবে!

৪)আপনি অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন না!
আপনি যদি অন্যের মতামতের গুরুত্ব না দেন তাহলে অন্যরাও আপনার মতামতের গুরুত্ব দেবেনা - এটাই সাভাবিক।  তাই ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন। কথা বলার চেয়ে কথা শুনুন বেশি।  অন্যের কথা শোনার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন এবং অন্য কোনো কাজ করবেন না।  তা না হলে বক্তা আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। 

৫)আপনি সকলকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করেন!
সকলকে খুশি করতে চাওয়া একটি বড় ভুল।  প্রথমত আপনি কখনোই সকলকে খুশি করতে পারবেন না।  আবার অন্যের প্রশংসা বেশি বেশি করলে তারা আপনার কথাকে মূল্য দেবে না।  তাই প্রশংসা শুধু সেখানেই করবেন যেখানে করলে লাভ হতে পারে।  অযথা প্রশংসা করে অন্যের নিকট ভালো হওয়ার প্রয়োজন নেই।

৬)আপনি আপনার পোশাক পরিচ্ছদে গুরুত্ব দেন না!
মানুষ সর্বপ্রথম আপনার মানসিকতা, বুদ্ধি বিবেক ইত্যাদি নয় বরং দেখে পোশাক ।  সুতরাং প্রথম দেখাতেই যাতে আপনাকে অপ্রয়োজনীয় কেউ মনে না হয় সেরকম পোশাক পড়ুন।  ভালো ও সুন্দর পোশাক পড়লে অন্যেরা আপনাকে গুরুত্ব দেবে। 

৭)আপনি এখনো এমন এক গ্রুপে আছেন যেখানে কেউ আপনাকে গুরুত্ব দেয় না !
যদি এরকম হয় তবে সেই গ্রুপের নতুন মেম্বাররাও আপনার কথার গুরুত্ব দেবে না।  আর একবার গুরুত্ব হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া অসম্ভব।  তাই সেটা যদি হয় কোনো বন্ধুদের গ্রুপ তাহলে সেই গ্রুপ ত্যাগ করুন। অনেক মানুষ আছে যাদের কাছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ।  প্রথম থেকেই উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলুন তাহলে সকলে আপনাকে সিরিয়াসলি নেবে। 

৮)আপনার উচ্চতা বা বয়স কম কিংবা আপনার ব্যবহার ছোট শিশুর মতো!
এটি সত্য যে আপনার উচ্চতা কম হলে বন্ধু মহল সহ অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে যথার্থ গুরুত্ব দেওয়া হবে না।  আবার কম বয়সীদের গুরুত্ব না দেয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি আপনি বয়ষ্ক হয়েও ছোট বাচ্চার মত ব্যবহার করেন তাহলেও লোকে আপনার গুরুত্ব দেবে না।

৯)আপনি একজন মেয়ে।
আমাদের দেশ সহ অনেক দেশে মেয়েদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না,যা মোটেও সঠিক নয়।   যদি আপনি এমন এক গ্রুপে থাকেন যেখানে প্রায় সকলেই ছেলে তাহলে  আপনার কথার  সঠিক গুরুত্ব  নাও দেয়া হতে পারে।  অর্থাৎ আপনাকে সিরিয়াসলি নেওয়া হবে না।  এক্ষেত্রে আপনাকে নিজ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করতে হবে। 

১০)আপনি নিজেকে নিয়ে হতাশ ও নিজেকে সম্মান করেন না। 
হতাশ মানুষকে কেউ পছন্দ করে না এবং সাধারনভাবেই তার মতামতের গুরুত্ব কম দেওয়া হয়।  আবার যারা নিজেকে অন্যের নিকট তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাদের কথারও কেউ গুরুত্ব দেয় না।  তাই কনফিডেন্স নিয়ে আসুন এবং নিজেকে সম্মান কর‍তে শিখুন,  নিজেকে ভালোবাসুন। 

Read More

Sunday, April 2, 2017

Butterfly

কিভাবে অন্যের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হওয়া বন্ধ করবেন?

অনেক সময় আমরা অন্যের সফলতা দেখে আনন্দিত না হয়ে বরং হিংসা অনুভব করি। তবে
অন্যের সফলতায় হিংসা বা ঈর্ষা অনুভব করা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু না। কর্মক্ষেত্র হোক আর হোক ভালবাসায়, অন্যের সফলতা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়না এমন মানুষ কমই আছে। এই ঈর্ষা-বোধ আমাদের মাঝে একধরণের হতাশার সৃষ্টি করে যার ফলে আমরা সুখী থাকতে পারি না। তাই নিজেকে সুখী রাখতে অবশ্যই ঈর্ষাপরায়ণ মনোভাবকে দূর করতে হবে। এজন্য চাই কিছু ছোট্ট পদক্ষেপ :-
১)সর্বপ্রথম আপনাকে স্বীকার করে নিতে হবে যে আপনি কোনো ব্যক্তির উপর ঈর্ষান্বিত এবং এই অনুভবটাকেই আপনাকে বিদায় করতে হবে।


২)এরপর গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে আপনি নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন। অন্যের সাথে তুলনা করার অর্থ হচ্ছে নিজেকে অপমান করা। এই পৃথিবীতে সকল মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার। আবার সকলে একই রকম সুযোগ সুবিধা ও অধিকার পায়নি । এছাড়া আপনার সাফল্য লিখা হয়ে থাকতে পারে অন্যত্র। তাই অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা অর্থহীন।


৩)চিন্তা করুন :- মহাবিশ্বের লক্ষ লক্ষ গ্যলাক্সির কোটি কোটি গ্রহের একটি ছোট নীলভ গ্রহের একজন তুচ্ছ মানুষ, যার গড় আয়ু বড়োজোর ৯০ বছর সে অন্য একজনের সাফল্য দেখে জীবনের সুখ শান্তিকে বিসর্জন দিচ্ছে। অথচ আর মাত্র ১০০ বছর পরে আপনি আমি এবং সে ব্যক্তির কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।তাহলে কেন একটা ছোট্ট বিষয় নিয়ে অপরূপ এ ক্ষণস্থায়ী জীবনটাকে বিষাদময় করে তুলবেন?


৪)সাইকোলজি বলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ; যেমন:- ফেসবুক,টুইটার ইত্যাদি আমাদের মাঝে ঈর্ষাপরায়ণতার সৃষ্টি করে। তাই যতটা সম্ভব এসব থেকে দূরে থাকুন ।


৫)নিজেকে সর্বদা পছন্দের কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন।
৬)সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কিছু সামাজিক কাজ করুন, যেমন গরীব শিশুদের অর্থ বা বস্ত্রদান। কিংবা বিনামূল্যে রক্ত দান করুন।


৭)অন্যের সাফল্যের প্রশংসা করুন তা যদি আপনার ভালো না লাগে তবুও। আপনি যতই প্রশংসা করবেন ততই সহজে তা মেনে নিতে পারবেন।


৮)নিজের সফলতা ও ভালো দিকগুলোর জন্য সর্বদা নিজেকে ধন্যবাদ দিন।


৯)এমন বন্ধু বানান যাদের সাথে আপনি এসব কিছু শেয়ার করতে পারেন। তবে অবশ্যই এমন কোনো বন্ধুর সাথে মিশবেন না যারা নিজেরাই হতাশাগ্রস্ত।


১০)সর্বোপরি নিজেকে ভালোবাসুন। ছোট এ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। আপনার সকল অনুভূতি আপনার ব্রেন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । সকল অনুভূতিই ব্রেনে হরমোনের প্রভাবে হয়। সেই হরমনগুলো মোটেও স্বেচ্ছায় নিঃসৃত হয় না। আপনি অবশ্যই পারেন আপনার অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে। তাই শক্ত হোন এবং ঈর্ষান্বিতা প্রতিরোধ করুন, সুখী সুন্দর জীবন যাপন করতে চেষ্টা করুন।
Read More